
এস.এম.ছগির আহমদ আজগরী,পেকুয়া:
কক্সবাজারের পেকুয়ায় চলতি বছরের গত আগষ্ট মাসের অভিযানে ৮লাখ টাকার ইয়াবা চালান সমেত এক পাঁচারকারী ও অর্ধশতাধিক পলাতক মামলার ওয়ারেন্ট তামিল করেছে পুলিশ। এ ছাড়া নারী ও শিশু নির্যাতন এবং অন্যান্য অপরাধ মুলক কর্মকান্ড বন্ধে ২০টি মামলা রুজু হয় থানায়। ফলে, পুলিশের এ কর্ম তৎপরতায় এলাকার সকল শ্রেণী পেশার মানূষ স্বস্তি ও সন্তোষ প্রকাশ করে পেকুয়া থানা পুলিশের প্রতি জানিয়েছে সাধুবাদ। জানা যায়, বাঙ্গালী জাতীর শোকের মাস আগষ্টে উপজেলার আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি শান্ত ও স্বাভাবিক রাখার পাশাপাশি সরকার, পুলিশ বাহিনী ও আইনের প্রতি সাধারণ মানূষের শ্রদ্ধাবোধ অটুট রাখতে পেকুয়া থানা পুলিশ নতুন করে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে। এসময় নিয়মিত টহলাভিযানের পাশাপাশি দফায় দফায় বন্যাক্রান্ত দূর্গতদের ত্রাণ ও পূর্ণবাসন কাজে সহযোগিতা প্রদান সহ ভেজাল পণ্যের বিকিকিনী প্রতিরোধ, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, রাহাজানী, যানজট থেকে জনসাধারণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কড়া নজরদারী সহ তাৎক্ষনিক এ্যাকশান অবস্থান গ্রহন করে পেকুয়া থানা পুলিশ। যার ফলে, পৃথক পৃথক অভিযানে উপজেলার একাধিক ৮লাখ টাকার ইয়াবার চালান সমেত এক পাঁচারকারী আটক ছাড়াও বিজ্ঞ আদালতের প্রায় অর্ধশতাধিক ওয়ারেন্ট তামিল করেছে পেকুয়া থানা পুলিশ। এসময় জি.আর মামলার ২৮টি, সি.আর মামলার ১২টি ওয়ারেন্ট তামিল সহ নিয়মিত মামলার ১১জন এজাহার নামীয় আসামীকে গ্রেপ্তার পূর্বক বিজ্ঞ আদালতে সৌপর্দ্দ করে পুলিশ। থানার তথ্য ও জনসংযোগ বিভাগে কর্মরত কনস্টেবল মোঃ হাসানের সরবরাহকৃত তথ্য উপাত্তের বরাত সূত্রে আরো জানা গেছে যে, আগষ্ট মাসে পুলিশের নিয়মিত অভিযান চলাকালীন সময়ে পেকুয়া থানার ইতিহাসে প্রথমবারের মতো প্রায় ৮লক্ষ টাকার ইয়াবা ট্যাবলেটের চালান সমেত ১পাঁচারকারীকে গ্রেপ্তারের সাফল্য দেখায় পুলিশ। এছাড়া, দেশব্যাপী নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা বৃদ্ধির তৎপরতা এলাকায় বন্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে এবং অন্যান্য ঋপরাধ মূলক আইনে থানায় ২০টি মামলা রুজু সহ নিয়মিত মামলার ১১জন আসামীকে গ্রেপ্তার পূর্বক বিজ্ঞ আদালতের নিকট সৌপর্দ্দ করেছে পুলিশ। তাছাড়া, উপজেলার অপরাধ প্রবন এলাকাগুলোর আতংক হিসাবে পরিচিত বাহিনীর অপরাধীদের বিচরণ তৎপরতা বন্ধে স্পর্ষকাতর পাড়া-মহল্লায় সার্বক্ষনিক নজরদারী জোরদার রাখে পুলিশ। সেই সাথে অসামাজিক কার্যকলাপ ও ফোজদারী অপরাধে সংশ্লিষ্টতার দায়ে ৫জনকে আটক করে ভ্রাম্যমান আদালতে সৌপর্দ্দও করে পুলিশ। যার কারণে উপজেলা জুড়ে অপরাধ জগতে সংশ্লিষ্টদের মাঝে পুলিশি আতংকে ছড়িয়ে সাধারণ মানূষের মাঝে আইন ও থানা পুলিশের প্রতি আস্থা ও শ্রদ্ধাবোধ জাগরনে পারদর্শীতা বজায় রাখতে পারদর্শীতা দেখিয়েছে পুলিশ। পেকুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ(প্রশাসন) মোঃ আবদুর রকিব ও ওসি(তদন্ত) শহিদুল্লাহ পুলিশের এ সাফল্যজনক তৎপরতা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, কর্মস্থল এলাকার মাটি ও মানূষের জানমালের নিরাপত্তা বিধানের পাশাপাশি সরকারী বেসরকারী সম্পত্তির নিরাপদ রাখতে পুলিশের সার্বক্ষনিক সর্বোচ্চ সতর্কবস্থান বজায় রাখবে পুলিশ।
পাঠকের মতামত